সরকারি ও বেসরকারি বিদ্যালয়সমূহে ভর্তি-২০২৬

ভর্তির যোগ্যতা কী?

expand_more

সরকারি এবং বেসরকারি বিদ্যালয়সমূহে ভর্তির জন্য শিক্ষার্থীদের অবশ্যই নির্দিষ্ট শিক্ষাগত যোগ্যতা এবং বয়সসীমা পূরণ করতে হবে। প্রতিটি শ্রেণির জন্য প্রয়োজনীয়তা ভিন্ন হতে পারে, যা ভর্তি বিজ্ঞপ্তিতে বিস্তারিতভাবে উল্লেখ করা থাকে।

বিভিন্ন শ্রেণির জন্য বয়সের প্রয়োজনীয়তা কী?

expand_more

সাধারণত প্রথম শ্রেণির জন্য বয়স ৬+ বছর হতে হয়। অন্যান্য শ্রেণির জন্য বয়স পূর্ববর্তী শ্রেণি পাশের সনদ এবং সরকারি নীতিমালা অনুযায়ী নির্ধারিত হয়। বিস্তারিত তথ্যের জন্য নির্দিষ্ট বিদ্যালয়ের ভর্তি বিজ্ঞপ্তি দেখুন।

প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির জন্য নির্দিষ্ট বয়সসীমা কত?

expand_more

প্রথম শ্রেণিতে ভর্তির জন্য ন্যূনতম বয়স ৫ বছর এবং সর্বোচ্চ বয়স ৭ বছর। দ্বিতীয় শ্রেণিতে ভর্তির জন্য ন্যূনতম বয়স ৬ বছর এবং সর্বোচ্চ বয়স ৮ বছর।

যমজ সন্তানের জন্য কীভাবে আবেদন করতে হবে?

expand_more

যমজ সন্তান থাকলে একটি ফরমেই দুজনের জন্য আবেদন করতে হবে। ফরমে যেকোনো একজনের নাম, জন্ম তারিখ ও জন্ম নিবন্ধনের নম্বর দিন এবং জেন্ডার নির্বাচন করুন।

আবেদনের জন্য কী কী কাগজপত্র প্রয়োজন?

expand_more

আবেদনপত্রের সাথে সাধারণত শিক্ষার্থীর জন্মসনদ, পূর্ববর্তী শ্রেণির পাশের নম্বরপত্র, প্রশংসাপত্র, এবং সদ্য তোলা পাসপোর্ট সাইজের ছবি প্রয়োজন হয়। সংরক্ষিত আসনের জন্য আবেদনের ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় প্রমাণপত্র জমা দিতে হবে।

জন্ম সনদ কি বাংলা নাকি ইংরেজিটা দিতে হবে?

expand_more

বাংলা বা ইংরেজি যেকোনো ভাষার জন্ম সনদ গ্রহণযোগ্য। তবে অবশ্যই অনলাইন ভার্সন হতে হবে এবং জন্ম নিবন্ধন নম্বর ১৭ সংখ্যার হতে হবে।

জন্ম সনদ ফরমের কোথায় সংযুক্ত করতে হবে?

expand_more

আবেদনের সময় জন্ম সনদ আপলোড করার প্রয়োজন নেই। ভর্তির সময় জমা দিতে হবে।

আবেদনে যে মোবাইল নাম্বার দিতে হবে, সেটা কি টেলিটক নাম্বার হতে হবে?

expand_more

না। আবেদনে যেকোনো অপারেটরের (গ্রামীণফোন, রবি, বাংলালিংক, টেলিটক ইত্যাদি) মোবাইল নম্বর ব্যবহার করা যাবে। তবে নম্বরটি অবশ্যই সক্রিয় থাকতে হবে কারণ গুরুত্বপূর্ণ তথ্য SMS এর মাধ্যমে পাঠানো হবে।

শিক্ষার্থী ছবি কি আগের স্কুল ড্রেস পরে দিতে হবে? নাকি যে কোনো পোশাক হতে পারে?

expand_more

যেকোনো ফর্মাল পোশাক পরে ছবি তোলা যাবে। আগের স্কুল ড্রেস পরা বাধ্যতামূলক নয়।

শিক্ষার্থীর ছবির মাপ ও ফাইল সাইজের নির্দিষ্ট প্রয়োজনীয়তা কী?

expand_more

ছবির মাপ অবশ্যই দৈর্ঘ্যে ও প্রস্থে ৩০০ পিক্সেল হতে হবে। ফাইল সাইজ সর্বোচ্চ ১০০ কিলোবাইট এবং ধরণ অবশ্যই JPG হতে হবে। ছবির আকার ঠিক করার জন্য photobip.com ওয়েবসাইট ব্যবহার করতে পারেন।

আবেদনের জন্য কোন ওয়েবসাইট ব্যবহার করতে হবে?

expand_more

আবেদনের জন্য gsa.teletalk.com.bd ওয়েবসাইটে ভিজিট করুন। আবেদন করার পূর্বে ভর্তি বিজ্ঞপ্তি ভালো করে পড়ে নিন।

একাধিক আবেদন জমা দেয়া যাবে কি?

expand_more

হ্যাঁ, একাধিক আবেদন জমা দেয়া যাবে। তবে সেগুলো অবশ্যই বিভিন্ন বিদ্যালয় এবং বিভিন্ন শিফটের জন্য হতে হবে।

সর্বোচ্চ কতোটি বিদ্যালয়ে আবেদন করা যাবে?

expand_more

এই বিষয়ে সুনির্দিষ্ট কোন সীমা উল্লেখ করা নাই। আপনি চাইলে দেশের প্রতিটি বিদ্যালয়েই আবেদন করতে পারেন। তবে প্রতিটি আবেদনের জন্য ফি প্রদান করতে হবে।

পছন্দ ক্ষেত্রে ৫ টির কম বা বেশি করা যাবে কিনা?

expand_more

একটি আবেদনে সর্বনিম্ন ১টি এবং সর্বোচ্চ ৫টি বিদ্যালয় পছন্দ হিসেবে নির্বাচন করা যাবে। অর্থাৎ আপনি চাইলে ১, ২, ৩, ৪ বা ৫টি - যেকোনো সংখ্যক বিদ্যালয় বেছে নিতে পারেন।

একটি আবেদনে কি ভিন্ন ভিন্ন থানার বিদ্যালয় নির্বাচন করা যাবে?

expand_more

না। একটি আবেদনে শুধুমাত্র একটি থানার বিদ্যালয়সমূহকেই নির্বাচন করা যাবে। আপনি চাইলে পৃথক আবেদনে অন্য থানার বিদ্যালয় নির্বাচন করতে পারেন।

আলাদা আলাদা আবেদনে কি একই বিদ্যালয়কে চয়েস হিসেবে উল্লেখ করা যাবে?

expand_more

একটি বিদ্যালয়ের একই শিফট ও ভার্সনের একটি শ্রেণিতে শুধু মাত্র একবারই চয়েস দেয়া যাবে।

সরকারি বেসরকারি উভয় মিলে সর্বোচ্চ ৫টি স্কুলে আবেদন করা যাবে? নাকি সরকারি ৫টি আর বেসরকারি আলাদা করে ৫টি স্কুলেও আবেদন করা যাবে।

expand_more

সরকারি ও বেসরকারি বিদ্যালয়ের জন্য আলাদা আলাদা আবেদন করতে হবে। সরকারি বিদ্যালয়ের জন্য পৃথক আবেদন এবং বেসরকারি বিদ্যালয়ের জন্য পৃথক আবেদন জমা দিতে পারবেন। প্রতিটি আবেদনে সর্বোচ্চ ৫টি করে বিদ্যালয় নির্বাচন করা যাবে।

একই স্কুলের বিভিন্ন শিফটে আবেদন করা যাবে কি?

expand_more

হ্যাঁ, একই স্কুলের বিভিন্ন শিফটে আবেদন করা যাবে।

এক স্কুলের দুই শাখায় আবেদন করা যাবে? দুই শাখা ভিন্ন ভিন্ন এলাকায়।

expand_more

এটি নির্ভর করে বিদ্যালয়ের নীতিমালার উপর। কিছু বিদ্যালয় তাদের বিভিন্ন শাখায় আলাদা আলাদা আবেদনের সুযোগ দেয়, আবার কিছু বিদ্যালয় একটি মূল আবেদনে সব শাখার জন্য বিবেচনা করে। সুনির্দিষ্ট তথ্যের জন্য সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয়ের ভর্তি বিজ্ঞপ্তি দেখুন।

ক্যাচমেন্ট কোটা কী?

expand_more

ক্যাচমেন্ট কোটা হলো নির্দিষ্ট বিদ্যালয়ের পার্শ্ববর্তী এলাকায় বসবাসকারী শিক্ষার্থীদের জন্য সংরক্ষিত আসন। এই কোটা তাদের জন্য প্রযোজ্য যারা সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয়ের আশেপাশের নির্দিষ্ট এলাকায় বসবাস করছেন। এটি স্থানীয় শিক্ষার্থীদের ভর্তির সুবিধা নিশ্চিত করতে প্রয়োগ করা হয়।

মুক্তিযোদ্ধা কোটার জন্য কারা আবেদন করতে পারবেন?

expand_more

শুধুমাত্র মুক্তিযোদ্ধার সন্তানেরা সংরক্ষিত আসনের জন্য আবেদন করতে পারবেন। মুক্তিযোদ্ধার নাতি/নাতনি এই কোটার জন্য প্রযোজ্য নয়। আবেদনের সময় মুক্তিযোদ্ধা সনদ নম্বর প্রদান করতে হবে।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কোটার জন্য কী প্রয়োজন?

expand_more

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সংরক্ষিত আসনে আবেদন করতে চাইলে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ, শিক্ষা মন্ত্রণালয় কর্তৃক প্রদানকৃত প্রত্যয়নপত্রের স্মারক নম্বর লিখতে হবে। ভুল তথ্য দিলে ডিজিটাল লটারির পূর্বে আবেদন বাতিল হবে।

যমজ কোটার জন্য কী কী তথ্য প্রয়োজন?

expand_more

যমজ কোটা নির্বাচন করলে অপর যমজের জন্ম সনদ নম্বর দিতে হবে। যে বিদ্যালয়ে যমজ কোটা চান, সেখানে অপর যমজ অধ্যয়নরত কিনা তা উল্লেখ করতে হবে।

ক্যাচমেন্ট কোটা কোন এলাকার জন্য প্রযোজ্য?

expand_more

ক্যাচমেন্ট কোটা শুধুমাত্র ঢাকা মহানগরের বিদ্যালয়গুলোর জন্য প্রযোজ্য। এই কোটার সুবিধা নিতে হলে ভর্তির সময়ে বর্তমান ঠিকানার স্বপক্ষে তথ্য প্রমাণ জমা দিতে হবে।

ফি কীভাবে প্রদান করতে হবে?

expand_more

ফি অবশ্যই টেলিটক প্রিপেইড সিম থেকে প্রদান করতে হবে।

অন্য কারো সিম দিয়ে ফি পরিশোধ করা যাবে কি?

expand_more

হ্যাঁ, যে কোনো ব্যক্তির টেলিটক প্রিপেইড সিম দিয়ে ফি পরিশোধ করা যাবে।

পৃথক পৃথক ৫ বার আবেদন করলে ৫ বার ফি জমা দিতে হবে? আর এটাতে কোনো সমস্যা হবে কি না?

expand_more

হ্যাঁ, প্রতিটি আবেদনের জন্য ১০০ টাকা করে ফি জমা দিতে হবে। ৫টি আবেদনের জন্য মোট ৫০০ টাকা। এতে কোনো সমস্যা নেই।

আবেদন জমা দেওয়ার পর সংশোধন করা যাবে কি?

expand_more

আবেদন জমা দেওয়ার পর সংশোধনের সুযোগ নেই। তবে ফি জমাদানের পূর্বে ভুল থাকলে আবেদনটি মুছে নতুন করে আবেদন করতে পারবেন। ফি জমা হয়ে গেলে সেটিই চূড়ান্ত আবেদন হিসেবে বিবেচিত হবে।

মোবাইল বা কম্পিউটার থেকে আবেদন করা যাবে কি?

expand_more

হ্যাঁ, আবেদন ফরমটি যথেষ্ট সহজ এবং ব্যবহারবান্ধব। আপনি নিজেই কম্পিউটার, ল্যাপটপ অথবা মোবাইল থেকে এটি পূরণ করতে পারবেন।

পিতা-মাতা মৃত হলে কী করতে হবে?

expand_more

পিতা-মাতা মৃত হলে আইনগত অভিভাবকের তথ্য প্রদান করুন।

প্রথম শ্রেণি ব্যতীত অন্যান্য শ্রেণির জন্য অতিরিক্ত কী তথ্য লাগবে?

expand_more

প্রথম শ্রেণি ব্যতীত অন্যান্য শ্রেণির ক্ষেত্রে পূর্ববর্তী বিদ্যালয়ের নাম ও শ্রেণি উল্লেখ করতে হবে।